কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জেফ্রি হিনটন গুগল ছেড়েছেন। সোমবার (১ মে) সোমবার তিনি নিজেই তার গুগল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হিনটন গত সপ্তাহে গুগলে তার অবস্থান থেকে পদত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপজ্জনক হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের উন্নয়নে তার যা কাজ, সেজন্য এখন তার অনুশোচনা হচ্ছে। এই চ্যাটবটগুলো এখন এমন বিপদজনক মাত্রায় বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে, যা রীতিমত ‘আতঙ্ক জাগানোর মত’।
তিনি বলেন, আমার জানা মতে, এখনও তারা আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার মনে হয়, শিগগিরই তারা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে আমরা দেখতে পাচ্ছি জিপিটি–৪ একজন মানুষের মতোই সাধারণ জ্ঞান রাখছে। তবে মানুষের সঙ্গে যুক্তিতে অতটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে তা উন্নতি করছে। এর অগ্রগতির হারের প্রেক্ষিতে আমরা আশা করছি বিষয়গুলো খুব দ্রুত হবে। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে না।
হিনটন জানান, তিনি গুগল ছেড়েছেন, কারণ তিনি চান আরও স্বাধীনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে। আর এটি নিয়ে কথা বলতে গেলে গুগলের প্রসঙ্গ আসবেই। নৈতিক সংঘর্ষ এড়াতেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি গুগল ছেড়েছি যাতে আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে পারি। কথা বলার সময় আমাকে যাতে এটি ভাবতে না হয় যে, আমার মন্তব্যের প্রভাব গুগলের ওপর পড়তে পারে।’ তিনি টুইটে আরও জানান, গুগল অতীতে এই বিষয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গেই কাজ করেছে।
এদিকে, গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি, সেই সঙ্গে আমরা উদ্ভাবনও চালিয়ে যাচ্ছি।
অনু/দীপ্ত সংবাদ