মাগুরায় কোচিং সেন্টারের যাওয়ার সময় অজ্ঞান করে এক শিক্ষার্থীকে (১৩) মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানি অভিযোগ উঠেছে। দুর্বৃত্তরা অচেতন অবস্থায় ওই মেয়েকে ২ ঘন্টা পর উপজেলার সামনে ফেলে রেখে গেলে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে শালিখা থানা ও পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই মেয়ে শিক্ষার্থীকে অচেতন করে তুলে নিয়ে যাই দুর্বৃত্তরা। পরে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে পুনরায় রেখে যায়। শালিখা উপজেলা আড়পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিক্ষার্থীর নানা এনামুল কবির মেয়েটির বরাত দিয়ে জানান, ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তার নাতি প্রতিদিনের মতো বিকালে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আড়পাড়া কালী মন্দির এর সামনে তিনটার দিকে পৌঁছালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার মুখে রুমাল চেপে তাকে অজ্ঞান করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় শালিখা উপজেলা অফিসে সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটি অচেতন থাকায় ঠিক তার উপরে কতজন নির্যাতন করেছে সে কিছু বলতে পারছে না। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাত সাড়ে দশটার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাগুরার শালিখা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ মেয়েটিকে অচেতন করে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির পর দুই ঘন্টা পর তাকে শালিখা উপজেলা অফিসে সামনে ফেলে রেখে গিয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী তাকে যারা কোচিংয়ে যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ও মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ