শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকেট কাটলো বাংলাদেশের মেয়েরা

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: সর্বশেষ সম্পাদনা: 2 minutes read

দারুণ জয়ে বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। এতে নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলাও।

ফেবারিট হিসেবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। ফেবারিটের মতোই আসর শুরু করে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দাপুটে শুরুর পর দারুণ পথচলায় সেমি-ফাইনাল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও ছড়ি ঘোরালো বাংলাদেশের মেয়েরা। দারুণ জয়ে বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ। এতে নিশ্চিত হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলাও।

শুক্রবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শেষ চারের লড়াইয়ে থাইল্যান্ডের মেয়েদের ১১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনাল জিতেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। কারণ এই টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট; অর্থাৎ, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ খেলবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, যাদের বিপক্ষে ১৪ রানের জয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ।

আয়োজক হওয়ায় ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলে বাংলাদেশ। এরপর তিনবার বাছাই পর্ব খেলে বিশ্বকাপের টিকেট কাটে বাংলাদেশ। প্রথমবার বাছাইয়ে রানার্স আপ বাংলাদেশ সবশেষ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। এবারও সহজেই বাছাই বাধা পেরিয়ে মূল আসরে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশের মেয়েরা।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ এদিন প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি। থাইল্যান্ডের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৫ উইকেটে ১১৩ রান তোলে নিগারের দল। মুর্শিদা খাতুন ও রুমানা আহমেদ ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। জবাবে বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করলেও ১০২ রানের বেশি তুলতে পারেনি থাইল্যান্ড।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে খুব ধীর গতির শুরু করে থাইল্যান্ড, হারাতে হয় উইকেটও। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে অনিচা কামেচোমফুকে ফিরিয়ে দেন সালমা খাতুন। পঞ্চম ওভারে থাইল্যান্ডকে পথ ভুলিয়ে দেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। এই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশ স্পিনার।

১৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখাতে শুরু করেন নাথাকান চান্তাম। অধিনায়ক নারুয়েমল চাইওয়াই তাকে অনেকটা সময় সঙ্গ দেন। তবে চান্তামের গতিতে রান তুলতে পারেননি তিনি, ২৭ বলে ১২ করে আউট হন থাইল্যান্ডের অধিনায়ক। এ কারণে আশা জাগিয়েও জয় পায়নি তারা।

হেরেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা চান্তাম ৫১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। নানাপাট কোনচারোএনকাই ১০ ও সরনারিন টিপোচ অপরাজিত ১০ রান করেন। শুরুতেই থাইল্যান্ডের ইনিংসে আঘাত হানা সালমা শেষ ওভারের শেষ দুই বলে টানা ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। মেঘলা ২টি ও নাহিদা আক্তার একটি উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন রুমানা। এ ছাড়া ফারজানা হক ১১, মুর্শিদা ২৬, অধিনায়ক নিগার ১৭, সোবানা মোস্তারী ৬ ও রিতু মনি ১৭ রান করেন। থাইল্যান্ডের রোসেনান কানোহ, ফানিতা মায়া ও অনিচা কামচোমফু একটি করে উইকেট নেন।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

সম্পাদক: এস এম আকাশ

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.