সুদানে সেনাবাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী আরএসএফের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১২ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ হাজার ১৯৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে রাজধানী খার্তুম। বিভিন্ন দেশ তাদের আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরাতে কাজ শুরু করেছে। ১ হাজার ৩০০ জন নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল–জাজিরা।
এদিকে আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা করবে না বলে জানিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। তারা বলেছেন, শুধু আত্মসমর্পণ মেনে নেবেন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর নিজের প্রথম ভাষণে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান বলেন, ‘সুদানে একটা বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত বেশ কিছুদিন ধরেই দুই বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরপর হঠাৎ করেই তা প্রবল সংঘাতে রূপ নিয়েছে।
এ সংঘর্ষে এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল–বুরহান। অপর পক্ষে রয়েছেন আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। এ ঘটনায় হাসপাতালসহ অনেক জরুরি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে লাখ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে। সেখানে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সংঘাতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে রাজধানী খার্তুমবাসী। দুই বাহিনীর হামলা–পাল্টা হামলার মধ্যে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। ভয়ে শহর ছাড়ছেন অনেকেই।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানে শুরু হওয়ার তীব্র লড়াইয়ের কারণে দেশটি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের নিরাপত্তার অভাবে প্রতিবেশী চাদে পালিয়ে গেছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ