বলিউড ফ্র্যাঞ্চাইজি সিনেমাগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কমেডি সিনেমা ‘হেরা ফেরি’ অন্যতম। এর দুটি পার্ট আসার পর থেকেই এর তৃতীয় কিস্তির অপেক্ষায় ভক্তরা।
‘হেরা ফেরি ২’ বড় পর্দায় দেখার কেটে গেছে ১৭ বছর। এর পর থেকেই পরবর্তী কিস্তির অপেক্ষায় সবাই। তবে কবে আসবে সেই উত্তর জানা নেই কারো। যদিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খবর আসে শিগগিরই আসছে ‘হেরা ফেরি ৩‘।
জানা গেছে, শুরু হয়েছে ‘হেরা ফেরি ৩‘-এর শুটিং। টিজার শুটের জন্য সম্প্রতি অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি ও পরেশ রাওয়ালকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ছবির সেটেও। ভাইরাল হয়েছিল ‘হেরা ফেরি’ ত্রয়ীর সেই ছবিও। তবে তারপর থেকে একাধিক বিতর্কের জন্ম দেয় ‘হেরা ফেরি ৩‘।
প্রথমেই ফারহাদ সামজির পরিচালনা নিয়ে আপত্তি জানান অনুরাগীরা। এমনকি, তাকে পরিচালকের চেয়ার থেকে সরানোর জন্য টুইটারে ‘রিমুভ ফারহাদ সামজি ফ্রম হেরা ফেরি’ ট্রেন্ড করাও শুরু হয়। তারপরই আসে আইনি জটিলতার প্রসঙ্গ। টি–সিরিজ বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় যে, ‘হেরা ফেরি’র সব গানের স্বত্ব তাদের কাছে আছে। এবার স্বত্ব দাবি করার সেই তালিকায় জুড়ল ইরস ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজনা সংস্থার নামও।
সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইরস ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ‘হেরা ফেরি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সব ছবির মেধাস্বত্বের অধিকার একমাত্র তাদের কাছেই আছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালার বেস ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকার বেশি প্রাপ্য ইরস ইন্টারন্যাশনালের। ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালার সংস্থা ওই টাকা শোধ না করা পর্যন্ত ইরস ইন্টারন্যাশনালের কাছেই ‘হেরা ফেরি’র স্বত্ব থাকবে।
ইরস ইন্টারন্যাশনালের তরফে আরও জানানো হয়, তাদের অনুমতি ছাড়া দেশে বা বিদেশে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছবির মুক্তির পথে এগোতে পারবে না বেস ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ। বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালার সংস্থা ইরস ইন্টারন্যাশনালকে তার প্রাপ্য টাকা শোধ না করলে ও তাদের অনুমতি না পেলে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছবি তৈরি হলেও তা মুক্তি পাবে না।
এমি/দীপ্ত