শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে আসন্ন ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত হাজারো পরিবার

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
5 minutes read

 

দেশের অন্যান্য জেলার মত গোপালগঞ্জের ঈদের বাজার খুব চড়া। দ্রব্য মূল্য সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষ।

মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ উৎসব পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর আর মাত্র ক”দিন বাকী। কিন্তু এবারে গোপালগঞ্জের অধিকাংশ পরিবারের মাঝে নেই ঈদের আমেজ। বাজারের লাগামহীন দ্রব্য মূল্যের কারনে ঈদের আনন্দ ফিকে যেতে বসেছে অনেক পরিবারের সদস্যদের। সাধারন লোকজন বলেন, আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু বাজারে প্রতিটি পওেন্যরই দাম আকাশ ছোঁয়া, ঈদের পোশাকের দাম তো আমাদের ক্রয়ের নাগালের বাইরে। পরিবারের ছোট সদস্যরা তো আর সেটা বুঝেনা তাদের নতুন জামাকাপড় না দিতে পারলে নিজের কাছে যেমন কষ্ট লাগে তেমনি ওদের ঈদের আনন্দ ও মাটি হয়ে যায়।

আমাদের আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য নেই, আমরা কিভাবে ঈদের কেনাকাটা করবো। দ্রব্যমূল্যের বাজার পুরোপুরি আগুন বললেই চলে। অসহায়, খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষদের এবার ঈদ পালন করতে বেশ বেগ পেতে হবে। কেনাকাটা তো দূরে থাক, সাধারন ভাবে খেয়েপরে বাঁচাটাই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এবারের ঈদ তাদের জন্য আনন্দহীন হয়ে পড়বে।

বাচ্চারা বলেন, আমাদের মাবাবা এখনো আমাদের জামাকাপড় কিনে দিতে পারে নাই আমরা জানিনা আমরা কিভাবে ঈদ করবো। দ্রব্যমূল্যের কারনে নিজের জন্যও ফ্যামেলীর কারো জন্যই কিছু করতে পারি নাই। আগামীতে কিভাবে বাঁচবো সেটাও বলতে পারিনা। আমরা বর্তমানে খুব দূঅবস্থার মধ্যে আছি। পয়সা না থাকলে ঈদ করবো কিভাবে?

বাচ্চাকাচ্চা দের পোষাক তো দিতেই পারি নাই। ঈদতো দূরের কথা সামান্য ছোলা ও কিনে খেতে পারিনা। ইনকামই হচ্ছেনা তাহলে ছেলে মেয়েদের কিভাবে জামা কাপড় কিনে দেব। প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের ঘড় দিয়েছেন কিন্তু ইনকামের ব্যবস্থা করেননি। গোপালগঞ্জে কল কারখানা হলে আমরা ভালভাবে খেয়ে পরে বেচে থাকতে পারতাম। আর আমরা এখনো কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনী। যেটুকু ও সাহায্য আসে সেটাও স্থানীয় মেম্বার ও প্রভাবশালীরা লুটেপুটে খায় বলেও অভিযোগ তাদের।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সব পন্যের দাম বেড়ে গেছে। সাধারন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সকলপন্য। এখন প্রয়োজনের অর্ধেক দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন সাধারন জনগন। তবে সরকার সব সময়ই সাবসিটি দিয়ে থাকে তবে এবার যেন আরো বেশী দেয় সেই অনুরোধও করেন তিনি।

সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জানান, বাংলাদেশের কিছু অসাধূ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে বাজারের এই উদ্ধগতি। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওয়তায় আনা দরকার। সাধারন মানুষের আয়ের সাথে ব্যায়ের সামন্জস্য রেখে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিত পারিবারিক কার্ড, ভিজিএফ ও টিসিবির পন্যে সাধারন মানুষের দারগোরায় পৌছে দিচ্ছি।

 

আল/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More