নাটোরে যুবতীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও অশ্লীল কাজে বাধ্য করার অভিযোগে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা অনুপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর ভিকটিম নাটোর সদর উপজেলার চর তেবাড়িয়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বের হলে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা পাবনা জেলার একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। কয়েকদিন পর জোর করে এদের একজনের সাথে বিয়ে দেয় ভিকটিম যুবতীকে। এরপর তাকে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অশ্লীল কাজের জন্য পাঠায় তারা। এরই এক পর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে নাটোরে ফিরে আসে ওই যুবতী।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়, যেদিন দন্ডপ্রাপ্তরা গ্রেফতার হবে সেদিন থেকে তাদের দন্ড কার্যকর হবে এবং জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে দেওয়া হবে।
এমি/দীপ্ত