মাত্র ১০টাকায় বিক্রি হচ্ছে বড় আকারের একটি তরমুজ। বৃষ্টির পানির ছোয়া ও মেঘলা আবহাওয়ার কারনে পানসে হয়ে গেছে বেশিরভাগ তরমুজ। ফলে কেনার আগ্রহ নেই বরিশালের আড়তদারদের।
বৃষ্টিতে বেশীরভাগ ক্ষেতের তরমুজে পানি ঢুকে যাওয়ায় তাতে পচনও ধরেছে। এরপর আড়তে আসতেও পচে যাচ্ছে তরমুজ। ওই সকল তরমজু ফেলা হচ্ছে নগরীর পোর্ট রোড খাল থেকে শুর করে আশেপাশের এলাকায়। কৃষকদের দাবি বিনিয়োগকৃত টাকার অর্ধেকও না আসায় বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে।
তরমুজ চাষীর মুখের হাসি ম্লান হয়ে এখন অশ্রু ঝড়ার উপক্রম হয়েছে। বৃষ্টির কারনে তরমুজের আকার বড় হলেও তাতে কোন স্বাধ নেই। বেশীরভাগ তরমুজ পানসে হওয়ায় তা বিক্রয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ট্রলার ভর্তি করে আড়তে এসে পাইকারদের অনুরোধ করে তা বিক্রি করছেন। ট্রলার থেকে আড়তে তোলার সময় পচন ধরা তরমুজ ফেলা হচ্ছে খাল ও আশপাশের এলাকায়।
চাষীদের অগ্রীম টাকা ও বিনিয়োগ করে বিপাকে পরেছেন অনেক আড়ৎদার ও পাইকারী ব্যাবসায়ী। বৃষ্টির কারনে ১০ থেকে ১৫ ভাগ তরমুজ নষ্ট হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পরবর্তী ফসলে প্রনোদনা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে এ কৃষি বিভাগ।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে ৬৪ হাজার ১৮৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমির তরমুজ নষ্ট হয়েছে বলে বরিশাল কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।
আল/দীপ্ত সংবাদ