রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র হলে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া। মিছিল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরুর পরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা দোকান–পাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে দাঙ্গাকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। খবর এনিডিটিভি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার ক্যারি রোড সংলগ্ন কাজিপাড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মিছিল নিয়ে যাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ ঘটে।
সেই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল পর্যন্ত মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মিছিলের আয়োজক অঞ্জনী পুত্র সেনার অভিযোগ, তাঁদের উপরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
জানা গিয়েছে, এই মিছিলের উদ্যোক্তা ছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা নামে একটি সংগঠন। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে যখন রামনবমীর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল, সেই সময় মিছিলকে লক্ষ্য করে প্রথমে কাচের বোতল, ইট ও পাথর ছোড়া হয়। পরবর্তীতে পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে।
হাওড়ার ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বারবার একই চেষ্টা। আজও হাওড়াতে দাঙ্গা করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিল করুন, বারবার বলেছি। আমাদের দলকেও তাই বলা ছিল। একদিকে অন্নপূর্ণ পুজো, অন্যদিকে রমজান চলছে। তাই সবাইকে বলা ছিল। কিন্তু বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করেছে। মিছিল করতে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি, কিন্তু তরোয়াল নিয়ে বুলডোজার নিয়ে মিছিল করার পারমিশন কে দিয়েছে? হাওড়ার মিছিলে বুলডোজার ব্যবহার করেছে, খবর পেয়েছি।’
হামলাকারীদের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হামলা করে যদি কেউ ভাবো রেহাই পাবে, তাহলে জেনে রাখো, এমন একদিন আসবে জনতার আদালতে যখন টিকবে না অন্যায়। আজকের ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি দাঙ্গাকারীদের দেশের শত্রু মনে করি। হাওড়া প্রথম থেকেই যেন ওদের টার্গেট। হাওড়ার সঙ্গে পার্ক সার্কাস আর উত্তরবঙ্গে ইসলামপুর, চোপড়াকে অশান্ত করা যেন বরাবরই ওদের টার্গেট।’
আফ/দীপ্ত সংবাদ