কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাঙ্গরা বাজার থানার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের উত্তর বাখরাবাদ গ্রামের মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধনে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করায় প্রতিবেশী একটি মাদ্রাসা ও দুটি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী ও দুইটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। মই দিয়ে ৭ ফুট উচু সীমানা প্রাচীর অবরুদ্ধ শিক্ষার্থী ও পরিবারের লোক জন পারাপার করছে। গবাদী পশুগুলো নিয়ে পড়েছে বিপাকে।
প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী রাবেয়া বসরী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বি চাপিতলা গ্রামের মরহুম হাজী আব্দুর রহমান ২০১৮ সালে ছাত্র–ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তাটি মৌখিকভাবে দিয়ে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ছেলে মাইনুদ্দিন মাদ্রাসা ও প্রতিবেশীদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ইকবাল সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার গেলেও তিনি ২ বছর ধরে আমাকে ঘুড়াচ্ছেন। ২ বছর পূর্বে তার বাড়িসহ জমি কেনার প্রস্তাব দেন এরা, ক্রয় করতে রাজি না হওয়ায় সীমানা প্রচীর নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়।
সীমানা প্রাচীর নির্মান কারি মাইনুদ্দিন বলেন, প্রাচীর নির্মান করে আমি কোন অপরাধ করিনি। আমার জমিতে আমি প্রাচীর নির্মান করেছি। আর এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাইনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী জানান, অবরুদ্ধ বিষয়টি আমি শুনেছি এবং তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য। এরপরও ভুক্তভোগীরা আদালতের সহযোগিতা নিতে পারেন।
রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল সরকার বলেন, বেশ কয়েকবার আমি চেষ্টা করেছি স্থানয়ি ভাবে মীমাংসা করার জন্য কিন্তু জমির মালিক মাইনুদ্দিন তার জমির উপর দিয়ে সড়ক দিতে রাজি হচ্ছেনা।
অনু/দীপ্ত সংবাদ