ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধসে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৩ জন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৫০ জন। সোমবার (২৭ মার্চ) ইকুয়েডরের জাতীয় রিস্ক এজেন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, ইকুয়েডরের শিম্বোরাজো প্রদেশের আলাউসি শহরে রবিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন নিহত হন এবং ৪৬ জন নিখোঁজ হন। উদ্ধারকর্মীরা মাটির নিচে চাপাপড়া অন্তত ৩২ জনকে উদ্ধার করেছে।
টুইটারে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রিস্ক এজেন্সি বলেছে, এ পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ৫০০ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং অন্তত ১৬৩টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা ডগ স্কোয়াডের সহায়তা নিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে পুরো বাড়িই মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে।
ইকুয়েডরের পরিবহনমন্ত্রী দারিও হেরেরা দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা আলাউসি পরিদর্শন করেছেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমাদের একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো, বিভিন্ন ঘরে এবং মাটির নিচে চাপা পড়া লোকদের খুঁজে উদ্ধার করা।
পাহাড় ধসের ফলে একটি স্টেডিয়াম সম্পূর্ণরূপে মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে। পাশাপাশি খেলাধুলা ও সঙ্গীত অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত আরেকটি মুক্তাঙ্গনও ধসে পড়েছে।
ভারী বর্ষণে ইকুয়েডরজুড়ে রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো চলতি মাসের শুরুর দিকে তীব্র আবহাওয়া এবং শক্তিশালী ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
আফ/দীপ্ত সংবাদ