২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সংদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ স্বীকৃতি দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ৩ কোটি মানুষ গৃহহারা হয়, এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে ছিল, লাশ শেয়াল কুকুরে খেয়েছে, সেটা মানুষ দেখেছে, মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে পাশবিক অত্যাচার করেছে। কাজেই ২৫শে মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাক সেটাই আমরা চাই।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের পরে ৩ নভেম্বর জাতির পিতার পরে চার জাতীয় নেতা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। আমি শুধু এটুকু বলবো, শহীদের রক্ত বৃথা যায় না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত–সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। লাখো শহীদের কাছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহিদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ