আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ৩৬ বছর বয়সে পা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বলা হয় সাকিবকে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এই ক্রিকেটারের বিচরণ ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই। ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়ার পর ১৭ বছর ধরে খেলে আসছেন লাল–সবুজ জার্সিতে। বিভিন্ন সময়ে দলকে এনে দিয়েছেন আনন্দের জোয়ারে ভাসার উপলক্ষ।
কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাশরুর রেজা নিজে ছিলেন ফুটবল ভক্ত, খেলতেন জেলার বিভিন্ন লিগে। তবে ছেলে সাকিব ছিলেন ক্রিকেটপাগল। গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় খেলতে গিয়ে প্রথমবার নজরে আসেন এক আম্পায়ারের। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় মাগুরার ইসলামপুর পাড়া ক্লাবে। ক্লাবে খেলার শুরুতেই চমকে দেন সাকিব। জায়গা পান বিকেএসপিতে।
বিকেএসপিতে মাত্র ছয় মাসের কোর্সে ভর্তি হয়ে শুরুতেই নিজের জাত চেনান সাকিব। তাই মাত্র ১৫ বছর বয়সে জায়গা পেয়ে যান অনূর্ধ্ব–১৯ দলে। সেসময়ই সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে খেলার জন্য।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়। একই বছর সাকিবের অভিষেক হয় টি–টোয়েন্টিতেও। প্রথম থেকেই নিজেকে পূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে চেনানো সাকিব ২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন।
ওয়ানডের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটেও অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থান দখল করেন সাকিব। এরপর টি–টোয়েন্টিতে। ২০১৫ সালে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই শীর্ষ অলরাউন্ডার হওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব।
মাঝে কয়েকবার জায়গা হারালেও বর্তমানে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে সবার শীর্ষে আছেন সাকিব। টেস্টে আছেন তিন নম্বরে। এই ফরম্যাটে তার আগে আছেন ভারতের দুই অলরাউন্ডার–রবীন্দ্র জাদেজা ও রবীচন্দন অশ্বিন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ