পৌষের শুরুতেই উত্তরের চরাঞ্চল বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা কারণে গত দুদিন থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা মিলছে না।
দুপুরের পর সূর্য কিছুটা উঁকি ঝুঁকি দিলেও বিকেলের পর থেকে আবার বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা এতে করে শীতের দাপট অনেকটায় বেড়ে যায়। ফলে শীতের দুর্ভােগে পড়েছে এ এলাকার মানুষ। এতে করে শিশু ও বয়স্কদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ঠান্ডা জনিত রোগ।
এছাড়া বেশি বিপাকে পড়েছে মাঠে–ঘাটে কাজ করা কৃষক ও শ্রমিকরা। শীত উপেক্ষা করে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের এসব মানুষেরা সর্দি জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে শীতের কবলে পড়েছে গবাদি পশুর মাঝেও দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই।
খোলাহাটী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, গত তিন দিন থেকে খুব কষ্ট করে ধানের কাজ করতে হচ্ছে। শীতের পোশাক গায়ে পড়ার পর ও ঠান্ডা লাগে আরো তো দিন পড়ে আছে। কেউ এখন পর্যন্ত একটা কম্বল ও দিলো না। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না।
পৌর শহরের রিকশা চালক সবুজ মিয়া বলেন, ঠান্ডা খুব কিন্তু একদিন রিকশা না চালাইলে চুলায় আগুন জ্বলবে না। যতই শীত হোক তবু রিকশা নিয়ে বাহির হতে হবে। তবে অন্যান্য দিনের মতো ভাড়া খুব কম।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী আজ সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত ২৪ ঘণ্টায় ২ ডিগ্রি নিচে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা আরো অনেকটা কমবে।
আতোয়ার রহমান রানা/এজে/দীপ্ত সংবাদ