বরগুনার খাকদোন নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নৌযান সংশ্লিষ্টদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে নদী খননের কাজ চলমান থাকলেও নৌযান চলাচলে কোনো সুফল মিলছে না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে খনন কাজে সম্পৃক্তরা।
নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের কারণে বরগুনার প্রাণ বলা হয় খাকদোন নদীকে। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। গত তিন মাস ধরে খনন কাজ চললেও ভাটার সময় নাব্যতা সংকটে নদীতে আটকে যাচ্ছে নৌযান। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারীদের।
প্রজেক্ট কো–অর্ডিনেটর ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “৩মাস আমাদের খননের কাজ অতিবাহিত হয়েছে একথা সত্যি। কিন্তু এখানে ৩ মাসে আমাদের যতটুকু খননের কাজ হওয়ার কথা ছিল আমাদের অন্যেন্য ট্রেজার আছে সেগুলোর ভিত্তিতে এখানে খনন কাজ আসলেই কম হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে নদীতে প্রচন্ড পরিমান ময়লা।”
৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খাকদোন নদী থেকে আড়াই লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণের কাজ পেয়েছে, ক্যাসেল কনসট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে প্রায় এক হাজার মিটার খনন কাজ শেষ হয়েছে। তবে নৌযান সংশ্লিষ্টদের দাবি খননে অনিয়মের কারণে কোন সুফল মিলছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, নদী খনন করে না তারা বসে থাকে, যেই জায়গায় খনন করা প্রয়োজন সেই জায়গায় খনন না করে অন্য একজায়গায় খনন করে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নদী বন্দর কতৃপক্ষ এই ব্যপারে খুব নিরব।
বরগুনার সহকারী বন্দর কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএ নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, “নদিতে মাটি খনন করার জায়গা না থাকার কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে, আস্তে আস্তে চলতেছে। এটা কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।“
নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার কোরে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খনন কাজ পুরোপুরি শেষ হলে, সুফল মিলবে নৌযান চলাচলে।
চার ভাগে খাকদোন নদীর ২ হাজার ৭৭০ মিটার খনন করা হবে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ