বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলছেন মুশফিকুর রহিম। দুই দশকের ধারাবাহিক সাফল্যের পথে অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেয়া বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার স্পর্শ করলেন এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কিংবদন্তিদের কাতারে নিজের নাম লিখিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল, যেখানে ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তার আগে ছিলেন কেবল দশ জন।
শততম টেস্ট উদযাপনে সম্ভবত এর চেয়ে ভালো উপায় হতে পারে না। কিংবদন্তিদের কাতারে নাম লিখিয়ে নিজের মাইলফলক ম্যাচে শতক করেছেন মুশফিকুর রহিম। ভক্ত–অনুরাগীদের সাক্ষী করে, ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ম্যাজিক ফিগার ছুঁঁয়ে সেই অধ্যায় রাঙালেন তিনি।
নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বিশ্বের ১১ জন ক্রিকেটার। বিশ্ব ক্রিকেটের এলিট ক্লাবে নিজের নামটাও যোগ করলেন মুশি। সাদা পোশাকে শতকের সংখ্যা ১২টি, সেসবের তিনটিকে পরিণত করেছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। তবে ১৩তম সেঞ্চুরি সবচেয়ে আলাদা। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলে এমনিতেই ইতিহাস গড়েছেন।
সেই উপলক্ষ সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙিয়ে ঢুকে গেলেন এমন এক এলিট ক্লাবে, যেখানে ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে তার আগে ছিলেন কেবল দশজন ব্যাটার।
নিজেদের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করে গ্রিনিজ, পন্টিংদের মতো ক্রিকেটারদের তালিকায় এখন মুশফিকের নাম। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রেকর্ডে প্রথম নাম লেখান ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রে। ১৯৮৯ সালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে যোগ দেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শততম টেস্টে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক ভারতের বিপক্ষে শততম টেস্টে করেন ১৮৪ রান। রিকি পন্টিং দুইবার নাম লেখান এই তালিকায়। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ, ২০১২ সালে নিজের শততম টেস্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩১ রান।
শুধু ব্যাটার হিসেবেই নয়, উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ৯ নম্বর ক্রিকেটার বনে গেলেন মুশি।
মোহাম্মদ হাসিব