গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এই বাহিনীর কাঠামো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরাকে দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা গাজায় কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না। সংগঠনের এক মুখপাত্র এই প্রস্তাবকে ‘ইসরায়েলি দখলের বদলে বিদেশি অভিভাবকত্ব আরোপ‘ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। সর্বশেষ তথ্যানুসারে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৯,৪৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৭০,৭০৬ জন আহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক এক হামলায়, গাজার দারাজ এলাকার একটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
গাজার প্রশাসন জানিয়েছে, শীতের প্রভাব গভীর হতে শুরু করায় সেখানকার বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য গুরুতর মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে কমপক্ষে ৩ লাখ তাঁবুর প্রয়োজন। এই তাঁবুর ব্যবস্থা করা গেলে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা অস্থায়ী আশ্রয়ের সুযোগ পাবে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।