বরিশালের বানারীপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে চতুর্থ পর্যায়ে জমিসহ ঘর পেয়ে নতুন জীবনের স্বাদ পেয়েছে ১৪২টি ছিন্নমূলপরিবার। দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দাদেরও। এখন ছেলে–মেয়েদের পড়াশুনা করিয়ে সচ্ছল জীবনের স্বপ্নে বিভোর হতদরিদ্র এসব পরিবারের সদস্যরা।
বারবার নদীভাঙনে ঘর হারিয়ে অনেকেই দিশেহারা তখন বেরীবাঁধের পাড়ে গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর পেয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন তারা।
নদীভাঙন এখানকার বাসিন্দাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সন্ধ্যা নদীর তীর ঘেঁষে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা। নদীতে সর্বস্ব হারিয়ে অন্যের জমিতে কোনরকমে বাস করছিলেন ভূমিহীন অনেক ছিন্নমূল মানুষ। আশ্রয়ন প্রকল্পের কারনে এখন তারা ভালোভাবে বসবাস করতে পারবে। নিজের নামে দুই শতক জমি পেয়েছেন।
সংসদ সদস্য ৩২৮ মহিলা আসন সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন, “যে মানুষগুলির বসতভিটা চলে গেছে সব নদী ভাঙনে, যাদের কিছুই নাই সেই ছিন্নমূল মানুষগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি দুর্যোগ সহনীয় ঘর দিয়েছেন। তাদের মাথার উপরে এখন বিল্ডিং।“
বিগত দিনে পাওয়া নানা অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে ঘর নির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সংসদ সদস্য বরিশাল–২ শাহে আলম বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আমরা এই বানারীপাড়া উপজেলাকে সম্পূর্নরুপে বাদ দিয়ে যাতে রক্ষা করা যায়, আগামীতে যাতে ফসল উৎপাদন করা যায়, এখানের মানুষ আরও অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে সে জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।“
চতুর্থ পর্যায়ে জমিসহ ঘর পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় চল্লিশ হাজার পরিবার। একইসাথে ৭টি জেলার ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ