রাজধানীর খিলক্ষেতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ যমজ দুই বোন সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরেছে। তারা দুজনই জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছিল।
এ পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ৩৩ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে দুই শিশুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় আহত মোট ৫৭ জন এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। একজনকে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আর তিনজন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন, তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত।
দগ্ধদের মধ্যে যমজ দুই শিশুর মধ্যে সায়রা ৩০ শতাংশ ও সায়মা ১৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আন্তরিকভাবে প্রত্যেক রোগীর সেবা দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। যারা বাড়ি ফিরেছেন, তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং ফলোআপ চিকিৎসা দিচ্ছে।‘
তিনি আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
দুই যমজ শিশুর বাবা–মা ইয়াসিন মজুমদার ও আকলিমা আক্তার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সেবা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ৩৬ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হন। তদন্ত কমিটি ঘটনাটির কারণ হিসেবে পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।