টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি‘র দুই পক্ষ। এতে ঘাটাইল জুড়ে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলীয় বিভাজন চিত্র।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস. এম. ওয়াবদুল হক নাসির নেতৃত্বে ‘ঘাটাইল গণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়‘ মাঠে উপজেলা বিএনপি একাংশ একটি র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। র্যালিটি স্কুল মাঠ থেকে শুরু করে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড‘সহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় মাঠে এসে শেষ হয়।
অন্যদিকে, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া‘র উপদেষ্টা লুৎফর রহমান আজাদ সমর্থক নেতাকর্মীরা আলাদা কর্মসূচি পালন করেন। বিকাল ৪টায় তারা ঘাটাইল জিবিজি কলেজ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সমাবেশ করে।
এস. এম. ওয়াবদুল হক নাসির বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস‘ আমাদের দলের ঐক্যের প্রতীক। আজকে যারা বিভাজন সৃষ্টি করছে, তারা বিএনপি শত্রুদের স্বার্থে কাজ করছে। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তেই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকব।
অন্যদিকে, লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি‘ চেতনা মানে গণতন্ত্র ও ত্যাগের মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করা। যারা ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মনোনয়ন নেয়, তারা সংহতির বার্তা ভুলে গেছে।
এসময় তৃণমূল নেতারা বলেন, দুই পক্ষ আলাদা কর্মসূচি করায় নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতারা দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি আরও দুর্বল হবে।
এছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল একাধিক নেতা বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধ বিএনপি দেখতে চান। যেখানে মাঠের কর্মীর মর্যাদা থাকবে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সুমন খান/এসএ