বহু প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল পৌনে ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সদস্যরা।
নেতাদের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ প্রমুখ।
বিকাল ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব‘কে দেখা যায়।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, খুব ভালো সনদ হতে যাচ্ছে। এখানে কিছু কিছু ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) আছে। এখন এই নোট অব ডিসেন্টগুলো কেমন করে আমরা মিনিমাইজ করব, যারা আজকে স্বাক্ষর করছেন না, তারা কেমন করে সম্পৃক্ত হবেন—ভবিষ্যতে সেটা নিয়ে কাজ করব। প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, আমি মনে করি গণতন্ত্রের পথে একটি শক্ত যাত্রা শুরু হবে।’
আইনজীবী ও সাবেক শিবির নেতা শিশির মনির বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা ৩টি দাবি উত্থাপন করেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি, কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। কমিশন অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তাদের দাবি মেনে নিয়ে ইতিমধ্যে জুলাই সনদে পরিবর্তন করেছে। তাদের আর কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়।’
অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার পথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার দিনে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ও পুলিশের সংঘর্ষ বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। ঐকমত্য কমিশন সহ–সভাপতি ঘোষণার পরও যে পরিস্থিতি হয়েছে তা অভ্যুত্থানের জন্য ভালো বার্তা না।
এসএ