বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির চিত্রটা তুলে ধরতে চাই। আমরা সবাই জানি কিন্তু বলিনা। তেলের দাম বেশী, চিনির দাম বেশী, গ্যাসের দাম বেশী, বিদ্যুতের দাম বেশী। সব জিনিসেরই দাম বেশি। সবচেয়ে সস্তা হলো আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর খানপুর এলাকায় মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, এটার দাম সবচেয়ে কম। এই লক্ষণ ভাল সব জিনিষের দাম উর্ধগতি। এই কয়েকদিন পরপরই বিদ্যুতের দাম তো ১০ থেকে ১২বার বাড়ানো হলো। কিন্তু যতবার জিনিসের দাম বাড়ে আওয়ামী লীগের দাম ততবার কমে। শেয়ার মার্কেট ডাউন করে দেন। শেয়ার মার্কেটের যে অবস্থা করেছেন। তাতে শুধু দেখা যাবে আওয়ামীলীগের দাম কতটুকু আছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আওয়ামী লীগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি তাতে দেশটা থাকবে কিনা। নির্বাচন দিয়ে কি করবেন দেশ না থাকলে। দেশটা চালাবেন কি করে। দেশের মানুষ বাঁচবে কি করে। সে কথাটা ভাবেন। সে কারনে আজকের দিনটি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি অভিযান অর্থাৎ সমাবেশ শুরু করলাম। বিদ্যুৎ খাতটা হলো টাকা চুরি করার একমাত্র বড় খনি।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র কি উন্নয়নের গণতন্ত্র চাই। এরকম গণতন্ত্র আবার উন্নয়নের হয় নাকি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন থাকলে সে উন্নয়ন টেকসই হয়। অর্থাৎ ১০ টাকার কাজ ২০ টাকা দিয়ে করা যায় না। এই আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রী ও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ প্রশাসনে যারা আছে সকলের সম্পদের হিসাব চাই। হিসাব দিয়ে বলুক আমি আয় করেছি, রোজগার করেছি। আপনি যদি পরিশ্রম করে বড়লোক হতে পারেন হন, এটা দোষের কিছু না। আমি সেই পুরনো দিনের একটা গানের কথা বলবো কেউ নয় সাহেব বিবি, কেউ নয় গোলাম। ভাই বকশিশ চাইনা মালিক হিসেবে পাওনা চাই।
এফএম/দীপ্ত