খ্যাতনামা বাংলাদেশি আলোকচিত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও শিক্ষাবিদ ড. শহিদুল আলম গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ঐতিহাসিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে যোগ দিয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক নাগরিক উদ্যোগটির উদ্দেশ্য গাজা উপত্যকার ওপর আরোপিত অবরোধ ভাঙা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বিশ্বজুড়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের একত্রিত করেছে, যেখানে রয়েছেন সংস্কৃতিজগতের তারকা, মানবাধিকার রক্ষক এবং জলবায়ু আন্দোলনের কর্মীরা। এই অভিযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ড. আলম এক বৈশ্বিক সংহতির পদক্ষেপে বাংলাদেশকে দৃশ্যমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
যাত্রার আগে এক বক্তব্যে ড. আলম বলেন, ফ্লোটিলা কেবল প্রতীকী ভ্রমণ নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক ঘোষণা। যখন মানুষকে স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং মৌলিক মানবাধিকারের বঞ্চনা করা হয়, তখন আমরা নীরব থাকতে পারি না। গাজা একা নয়; আমাদের কণ্ঠ আর কর্ম অবশ্যই তাদের তীরে পৌঁছাতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ড. আলম উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার কণ্ঠ এই অভিযাত্রায় যুক্ত হওয়ায় অবিচলতা ও প্রতিরোধের অভিন্ন ইতিহাস আরও শক্তভাবে সামনে আসছে। তিনি আরও বলেন, শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও কর্মীরা বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচারের ডাক পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এই সপ্তাহে যাত্রা শুরু করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার লক্ষ্য হলো গাজা অবরোধ ভাঙা এবং শান্তি, সংহতি ও সুমুদ (অবিচলতা)-এর বার্তা বহন করা। খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি ইতিমধ্যেই বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
বাংলাদেশের জন্য ড. শহিদুল আলমের অংশগ্রহণ বিশ্বব্যাপী নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশের দীর্ঘদিনের অবস্থানকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। ফ্লোটিলা এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব তাকিয়ে আছে—আন্তর্জাতিক সংহতির আন্দোলন কীভাবে গাজা প্রসঙ্গকে নতুনভাবে আলোচনায় আনে।