ব্যাট–বলের লড়াইয়ে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবার হয়েছে মাত্র একটি শতক। শ্রীলঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা করেছেন এই কীর্তি। সুপার ফোরে টানা তিন ফিফটি করে, আসরের সেরা রান সংগ্রাহক হয়েছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। তবে সেরা পাঁচ বোলারদের তালিকায় আধিপত্য পাকিস্তানিদেরই। এছাড়া আছেন এক বাংলাদেশি।
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া‘র রাজা হয়েছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন দলের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত সেরাদের তালিকাতেও ছিলো টিম ইন্ডিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্য। ব্যাট হাতে অভিষেক শর্মা এবং বল হাতে কুলদীপ যাদব নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন।
এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা। টুর্নামেন্টজুড়ে তার ধারাবাহিকতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। সুপার ফোরে টানা তিন ফিফটির পাশাপাশি গ্রুপ পর্বেও ব্যাট হাতে তিনি ছিলেন সাবলীল। মোট ৩১৪ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতেছেন এই তরুণ। তার ৩১৪ রান এসেছে ২০০‘র ওপর স্ট্রাইক রেটে।
অভিষেকের সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছিলেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ফাইনাল পর্যন্ত যেতে না পারায় ছয় ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৬১ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬০ দশমিক এক–দুই। আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে তার ব্যাট থেকেই। তৃতীয় সেরা রান সংগ্রাহক পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান, যিনি সাত ইনিংসে করেছেন ২১৭ রান। এরপরেই আছেন ভারতের তিলক ভার্মা ২১৩ রান নিয়ে। পাকিস্তানের ফখর জামানের মোট রান ১৮১।
বোলিংয়ে সবার সেরা ভারতের চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। ভারতের হয়ে সাত ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন, ছয় দশমিক দুই–সাত রান । ফাইনালে চার উইকেটসহ টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। সাত ম্যাচে দশ উইকেট শিকার করতে ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ছয় দশমিক ছয়–শূন্য রান। তিনে অবস্থান করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার জুনায়েদ সিদ্দিকী। সুপার ফোরে খেলতে না পারলেও মাত্র তিন ম্যাচেই ৯ উইকেট নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার।
এই তালিকায় পরের নামটা বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানের। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা, দ্য ফিজের ছয় ম্যাচে উইকেট সংখ্যা ৯টি। ফাইনালে বাজে বোলিং করলেও, ৫ ম্যাচে ১৮ দশমিক তিন–তিন গড়ে ৯ উইকেট শিকার করে হারিস রউফ আছেন সেরা পাঁচে।
একনজরে এশিয়া কাপে সেরা সেরা পাঁচ বোলার–
কুলদীপ যাদব – ১৭ উইকেট (৭ ইনিংস)
শাহীন শাহ আফ্রিদি – ১০ উইকেট (৭ ইনিংস)
জুনায়েদ সিদ্দিকী – ৯ উইকেট (৩ ইনিংস)
মুস্তাফিজুর রহমান – ৯ উইকেট (৬ ইনিংস)
হারিস রউফ – ৯ উইকেট (৫ ইনিংস)।
হাসিব/আল