আজ মহা সপ্তমী। রাজধানী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির‘সহ দেশের সব মন্দিরেই আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হবে। চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী–দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলেবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মহাসপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্থাপন করা হবে। ‘নবপত্রিকা’ শব্দের অর্থ হলো নয়টি ভিন্ন গাছের পাতা। এগুলো হলো— কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মান এবং ধান। এসব উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। এরপর এক জোড়া বেলপাতা ও শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর মতো সাজানো হয়। পরে তাতে সিঁদুর পরিয়ে দেবী প্রতিমার ডান পাশে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়। প্রচলিতভাবে এই নবপত্রিকাই পরিচিত ‘কলাবউ’ নামে।
নবপত্রিকার নয়টি উদ্ভিদকে দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশের পর অনুষ্ঠিত হয় দেবীর মহাস্নান।
শাস্ত্র অনুযায়ী মহা সপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (ষোলো উপাদানে) দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। এ সময় পূজারীরা প্রতিমার সামনে বসে মায়ের মুখ দর্শন করবেন।
ভক্তদের কষ্ট দূর করতে এ বছর দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজ বা হাতি‘তে চড়ে আর বিদায় নেবেন দোলায় বা পালকি চড়ে।
অশুভ শক্তিকে শোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ছিল মহা ষষ্ঠী। ষষ্ঠীতে প্রতিমার প্রাণপ্রতিষ্ঠা, কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার বোধান হয়। সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে দেবীর মর্ত্য আগমনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
এসএ