পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের টানাপোড়ায় টানা তৃতীয় দিনের মতো আজও বন্ধ রয়েছে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেও কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে এলেও বাস না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন, আবার কেউ বিকল্প গাড়িতে রওনা হচ্ছেন।
তবে একতা ট্রান্সপোর্ট, আরপি এলিগেন্স, শ্যামলী এই রুটে তাদের চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে। কিছু লোকাল বাসও ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন করছে।
শ্রমিকরা জানায়, তাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে গত ৩দিন ধরে গ্রামীণ ট্রাভেলস, হানিফ, দেশ ও ন্যাশনাল ট্যাভেলস–এর গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। এতে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও বিপাকে পড়েছেন ।
আর মালিকপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তারা বাধ্য হয়ে গাড়ি বন্ধ করেছেন। আর টানা ৩ দিন ধরে এ অচলাবস্থা চললেও এখনো কোনো পক্ষই আলোচনায় বসেনি। সরকারের তরফ থেকেও সমাধানের জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতি মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় পরিবহন নেতাদের সঙ্গে গত রাতে বসার কথা ছিল। তবে একজন নেতা অসুস্থ থাকায় বসা হয়নি। আজ বসা হবে। সেখানেই বিষয়টির সুরাহা হবে।
এর আগে, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে মালিকেরা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর বেতন–ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন শ্রমিকেরা রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন। ২ দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা আবারও বাস চালু করেন। তবে বেতন–ভাতা প্রত্যাশিত পরিমাণে না বাড়ায় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবারও কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকেরা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল পর্যন্ত একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো দূরপাল্লার বাস চলেনি। পরে বেতন বাড়ানো হলেও শ্রমিক–মালিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকায় গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নতুন করে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিক সমিতি।
এসএ