বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫

এক পোয়া মাছ বিক্রি ৮০ হাজার টাকায়

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

পটুয়াখালীর আলিপুর মৎস্য বন্দরে জেলের জালে আবারও ধরা পড়েছে ব্ল্যাক ডায়মন্ডবা কালো পোয়ানামে একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ।

আজ শনিবার সকালে মাছটি আলীপুর বন্দরের মেসার্স জাবের ফিসে নিয়ে আসলে খোলা বাজারে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

৪ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের মাছটি প্রতি কেজি ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ প্রজাতির মাছ সচরাচর জেলেদের জালে ধরা পড়ে না। তাই খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখার জন্য আড়তে ভীড় লেগে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাছটি আড়তে তোলা হলে ডাকের মাধ্যমে ‘ফ্রেশ ফিস কুয়াকাটা’র স্বত্বাধিকারী পি. এম মুসা কিনে নেন। মাছটি তিনি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করবেন বলেও জানিয়েছেন। এর আগে গত বুধবার সাড়ে ৪ কেজি ওজনের আরও একটি কালো পোয়া ৭২ হাজার টাকায় তিনি কিনেন।

স্থানীয় জেলেদের কাছে মাছটি ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ও দাঁতিনা নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে মাছটির বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডার চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়ায় এর দাম অনেক বেশি।

ওয়াল্ড ফিস বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, কালো পোয়া পরিবারের একটি দুষ্প্রাপ্য সামুদ্রিক মাছ। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার হয়, তবে কখনো ১.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কোনো কোনো সময় ৫০ কেজিরও বেশি পাওয়া যায়। মাছটি বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য ক্রাস্টেশিয়ান খেয়ে বেঁচে থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এ মাছকে ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকারও বলা হয়। সম্প্রতি ২টি মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। এটি অত্যন্ত খুশির খবর। সাম্প্রতিক ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফলেই জেলেরা এখন বেশি মাছ পাচ্ছেন, এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More