বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

পাবনায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক!

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

পাবনা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে, জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে লিজ নেওয়া সরকারি সম্পত্তি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

কাগজপত্র অনুযায়ী সুখ রঞ্জন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদম, সূর্যসেন পল্লির বাসিন্দা এবং ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নাম্বার ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।

গত ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। অথচ তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিক। সেখানে জমিজমা কিনেছেন এবং ফ্ল্যাট বাড়ি করেছেন। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে সেখানেই বসবাস করে। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পান, এজন্য তাকে নিয়ে পাবনা থাকেন। মাঝেমধ্যে ১৫ দিন থেকে ১ মাস ছুটি নিয়ে তারা ভারত যান। সুখ রঞ্জন, তার শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজ নামে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, আমার বাবা শহরের মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের নামে লিজ দেওয়া হয়। মা মারা যাওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে শুধুমাত্র আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসক কাছে আবেদন করেছে। এমনকি পৌরসভাতেও আমার বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন দিয়েছে। আমার বাড়িতে বসবাস করে এখন আমাকেই বাড়ি ছাড়া করতে চায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কাগজপত্রও পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাব এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব।

অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, এসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রীসন্তান ওর ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা আসেনি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারব।

পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি, কিন্তু এখনো লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এসএ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More