সাংবাদিকদের বেতন ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অনেক ভালো সুপারিশ আছে। আর যেসব জায়গায় অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোর সমালোচনা করা প্রয়োজন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের যে ধারা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তা থাকা প্রয়োজন। কেননা, ধর্মীয় কারণে অনেক ভায়োলেন্স তৈরি হয়। এসব ভায়োলেন্স বন্ধ করার জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তির বিধানটা থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া নীতির সঙ্গে আমি একমত। এটি বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন। যারা সম্পাদক ও প্রকাশক হবেন, তাদের ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এটি নীতিবিরুদ্ধ। সাংবাদিকদের অবশ্যই সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। কারণ অপসাংবাদিকতার কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকদের বেতন ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত। আর সাংবাদিকেরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় পড়লে এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া মালিককে নিতে হবে। প্রয়োজনে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।
শফিকুল আলম বলেন, মিডিয়া লাইসেন্স নিতে হলে অনলাইনের জন্য ১০ থেকে ১৫ কোটি, পত্রিকার জন্য ২০ কোটি ও টিভির জন্য ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি হিসেবে সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে। যখন হাউজগুলো ভালনারেবল হবে, তখন সাংবাদিকদের বেতন–ভাতা দেওয়ার জন্য এগুলো কাজে আসবে।
প্রেস সচিব বলেন, অনেকেই মব নিয়ে কথা বলেন। আমি আবারও বলবো, যেগুলো লেজিটিমেট প্রোটেস্ট, সেগুলোকে প্রোটেস্টই বলা উচিত। আর যেটা আসলেই মব, তাকে মবই বলতে হবে। কিন্তু যদি প্রোটেস্ট হয়, সেটাকে যদি মব বলতে চান, তাহলে তার প্রোটেস্ট করার অধিকারটা কেড়ে নেওয়া হয়। এখন অনেকেই এ ধরনের আলাপগুলো দিচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, অনেক বড় সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে খবর প্রচার করছেন। এগুলো একটু রেগুলেটরির আওতায় আনা উচিত। রেস্পন্সিভ জার্নালিজম করতে হবে। মাইলস্টোনের আগুন লাগার ঘটনায় দেখবেন, ফেসবুকে দেওয়া হলো ২০০ লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন কিন্তু এ রকম বিষয়টি পাওয়া যায়নি। এই যে, এ ধরনের তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ দেখছে। প্রতিদিন ইউটিউবে সস্তা বস্তাপচা কনটেন্ট দেওয়া হয়। পৃথিবীর কোনও দেশে এগুলো করা যায় বলুন তো? পাকিস্তান, ভারত কোথাও করা যায় না।