টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজির ইংল্যান্ডের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২ উইকেটে ৩০৪ তোলেন ইংলিশরা।
ম্যাচটিতে যেমন ইংল্যান্ডের দাপট ছিল, তেমনি বেশকিছু উল্লেখযোগ্য রেকর্ডও গড়েছেন দলটির ক্রিকেটাররা। ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার ফিল সল্ট।
ফিল সল্ট খেলেন ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। জবাবে এডেন মার্করামদের ইনিংস শেষ হয় ১৫৮ রানে। ১৪৬ রানে জেতা এই ম্যাচেই বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে ১৫টি নজির তৈরি হয়েছে।
১) বিশ্বের তৃতীয় দল হিসাবে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ বা তার বেশি রানের ইনিংস গড়ল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় টেস্ট খেলিয়ে দেশ হিসাবে ইংল্যান্ড এই কৃতিত্ব অর্জন করল। এত দিন নেপাল এবং জ়িম্বাবোয়ের এই কৃতিত্ব ছিল।
২) শুক্রবারের ম্যাচে জস বাটলার ১৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন বাটলার। তাঁর আগে রয়েছেন মইন আলি (১৬ বল) এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (১৭ বল)।
৩) শুক্রবারের ম্যাচে প্রথম ৫.৫ ওভারে ১০০ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম।
৪) সল্ট এবং বাটলার ওপেন করতে নেমে প্রথম উইকেটের জুটিতে করেন ১২৬ রান। ২০ ওভারের ক্রিকেটে এই নিয়ে তাঁরা চতুর্থ বার ১০০ বা তার বেশি রানের জুটি তৈরি করলেন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ রানের জুটির তালিকায় তাঁরা এখন যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে।
৫) সল্ট–বাটলার জুটি ৪৭ বলে ১২৬ রান করে। ওভার প্রতি তাঁরা তুলেছেন ১৬.০৬ রান। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে ১০০ রানের জুটির ক্ষেত্রে ওভার প্রতি এটাই সর্বোচ্চ রান।
৬) এই ম্যাচে সল্ট অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ১৯ বলে। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম অর্ধশতরান করেন তিনি। তাঁর আগে রয়েছেন মইন (১৬ বল), লিভিংস্টোন (১৭ বল) এবং বাটলার (১৮ বল)।
৭) ১০ ওভারের পর ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ১৬৬। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৈরি হল নতুন রেকর্ড। এর আগে কখনও প্রথম ১০ ওভারে এত রান ওঠেনি।
৮) ১২.১ ওভারে ২০০ রান তোলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটারেরা। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনও দল এত দ্রুত ২০০ রান তুলতে পারেনি। গাম্বিয়ার বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ে ১২.৫ ওভারে ২০০ রান তুলেছিল ২০২৪ সালে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন ব্রুকেরা।
৯) শুক্রবারের ম্যাচে ৩৯ রানে শতরান করেছেন সল্ট। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই ইংল্যান্ডের কোনও ব্যাটারের দ্রুততম শতরান। সল্ট ভেঙে দিলেন লিভিংস্টোনের ৪২ বলে শতরানের রেকর্ড। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নজিরটি গড়েছিলেন লিভিংস্টোন।
১০) সূর্যকুমার যাদবের একটি রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে। টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চতুর্থ শতরান করতে সল্ট নিলেন ৪২টি ইনিংস। সূর্যকুমার চারটি শতরান করতে নিয়েছিলেন ৫৭টি ইনিংস। শুক্রবারের পর সল্টই এ ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্রুততম।
১১) টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে শতরানের সংখ্যায় যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন সল্ট। তাঁর এবং সূর্যকুমারের শতরানের সংখ্যা চারটি। রোহিত শর্মা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পাঁচটি করে শতরান রয়েছে।
১২) নিজের একটি রেকর্ডও উন্নত করেছেন সল্ট। তাঁর অপরাজিত ১৪১ রান টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যন্ডের কোনও ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১১৯ রান করেছিলেন সল্ট। যা এত দিন ছিল সর্বোচ্চ।
১৩) কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ৩০৪ রানই টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। ভেঙে গেল ভারতের রেকর্ড। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান করেছিল ভারত।
১৪) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংরেজ ব্যাটারেরা শুক্রবার ৪৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারার নজির গড়েছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড জ়িম্বাবোয়ের দখলে। গাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে ৫৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন জ়িম্বাবোয়ের ব্যাটারেরা।
১৫) টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়েছেন ব্রুকেরা। তাঁদের আগে রয়েছে জ়িম্বাবোয়ে (৩৪৪/৪) এবং নেপাল (৩১৪/৩)।