আয়তন ও অবকাঠামোগত কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল বিদ্যুত প্রয়োজন হয়। এতে খরচও হয় অনেক। বিদ্যুৎ ব্যয় কমানো ও পরিবেশ সুরক্ষায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোকেও এ প্রকল্পের আওতায় আনতে চায় ইউজিসি।
‘ওপেক্স মডেল‘ এই প্রকল্পে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনে কলেজগুলোকে কোন খরচ করতে হবে না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যবহার করতে পারবে আর উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস–চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
তিনি বলেন, “দেশের উচ্চ শিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভৌত অবকাঠামো অনেক ব্যাপক ও বিশাল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসেও বছরে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। যার খরচও অনেক। বিদ্যুৎ খাতের এই বিশাল ব্যয়ভার কমিয়ে আনতে পারলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লাভবান হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম বলেন, দেশের নির্বাচিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তাবিত এই সিস্টেমে যুক্ত হলে বছরে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হবে।
সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো ভাইস–চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান ও প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযমসহ ইউজিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভি/এসএ