স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরণ পাল্টে দিচ্ছে তরুণ প্রজন্মের জীবনযাপন। বিশেষ করে ভ্রমণ, ফটোগ্রাফি ও অনলাইন সংযুক্তিকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন চাহিদা। এখন আর কক্সবাজার বা কোনো ওয়াটার পার্কে স্মার্টফোনকে আলাদা কেসে ভরতে হবে না। ভিভোর নতুন ওয়াই সিরিজের Y400 ফোনটেক স্মার্টফোন দুনিয়ায় ‘অ্যাডভেঞ্চার রেডি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আইপি৬৯ রেটিং থাকা এই ডিভাইসটি পানির নিচেও নির্বিঘ্নে ছবি তুলতে সক্ষম, এমনকি ওয়াটার ডাইভের সময়ও ক্যামেরা অন রাখা সম্ভব। ওয়াই৪০০–তে থাকছে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি মোড, যা ভ্রমণপিপাসু ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য এক নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি IMX852 সেন্সরযুক্ত অটোফোকাস প্রধান ক্যামেরা। সঙ্গে রয়েছে একটি ২ মেগাপিক্সেলের বোকে সেন্সর এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। চিত্রের রঙ ও আলোকে নিখুঁত করতে কাজে আসে ফোনটির উন্নত AI ফিচারস।
ডিজাইন দিক থেকেও ফোনটি বেশ আকর্ষণীয়। ডাইনামিক গ্রিন ও পার্ল হোয়াইট— এই দুটি শেড ফোনটিকে এনে দিয়েছে ভিন্নমাত্রার বৈচিত্র্য। বিশেষ করে আলো পরিবর্তনের সঙ্গে রঙে যে শেডিং হয়, তা অনেকটাই প্রিমিয়াম ফোনের অভিজ্ঞতা দেয়।
৬.৬৭ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮০০ নিটস ব্রাইটনেস— এই তিনটি উপাদান মিলে স্ক্রিন এক্সপেরিয়েন্সকে করেছে প্রাণবন্ত ও চোখ–সাশ্রয়ী। ভিভো জানিয়েছে, ফোনটির ডিসপ্লে SGS সার্টিফায়েড আই কমফোর্ট টেকনোলজি সমর্থিত, যা দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও চোখের ওপর চাপ কমায়।
ডিউরাবিলিটি দিক থেকেও ওয়াই৪০০ কিছুটা ব্যতিক্রম। শুধু পানিরোধী নয়, এটি মিলিটারি–গ্রেড টাফনেস অর্জন করেছে। আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ সুরক্ষা থাকায় দুই মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফোনটি সুরক্ষিত থাকে।
৬০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জিং সুবিধা নিশ্চিত করে ফোনটির দীর্ঘস্থায়ী চার্জ ব্যাকআপ। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, চার বছর ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশ সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। এর সঙ্গে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর, যা দৈনন্দিন মাল্টিটাস্কিং ও মিডিয়া ব্যবহারে স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।