শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমানোর কৌশল হিসেবে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন বীরদর্পে এগিয়ে আসেন এদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনে এই সাহসী শিক্ষার্থীরাই অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন।
নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, ইউআইইউ, ড্যাফোডিল, ইউল্যাব, ইউডা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, প্রাইম এশিয়া, স্ট্যামফোর্ড, ইউআইটিএসসহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী নতুন বাজার, রামপুরা, উত্তরা, বাড্ডা, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তোলেন।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় বিজিসি ট্রাস্ট ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম; রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
এই শিক্ষার্থীদের গুলি ছুড়ে, এলাকায় এলাকায় ব্লক রেইড–আটক–গ্রেপ্তার–অভিযান চালিয়েও দমিয়ে রাখতে পারেনি তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার।
আজ ১৮ জুলাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিরোধ দিবসে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে ডকুমেন্টারি ‘হিরোস উইদাউট কেপস: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস ইন জুলাই’।
আল