নারী এশিয়ান কাপে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগ হবে বাছাইপর্ব থেকে আরও আটটি দল। আর ওই টুর্নামেন্ট থেকেই এশিয়ার আটটি দল অংশ নেবে নারী ফুটবল বিশ্বকাপে। তাই প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সামনে স্বপ্নজয়ের হাতছানি।
এশিয়ান কাপে অংশ নেয়া ১২টি দল লড়াই করবে ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দল। বাছাইপর্ব থেকে কোয়ালিফাই করা আটটি দল ও ইতিমধ্যে জায়গা করে নেয়া চার দল নিয়ে আগামী ২৯ জুলাই সিডনির আইকনিক টাউনহলে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ড্র।
প্রত্যেক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ এবং দুইটি সেরা তৃতীয় স্থান প্রাপ্ত দল পৌঁছে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। কোয়ার্টার ফাইনালের জয়ী চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করবে। পরাজিত চারটি দল নিয়ে দুইটি প্লে অফ ম্যাচ হবে নক–আউট পদ্ধতিতে জয়ী দুই দল বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করবে।
প্লে–অফেও পরাজিত দুই দলের আবারো সুযোগ থাকবে। ইন্টার–কনফেডারেশন্স প্লে অফে অংশ নিয়ে কোয়ালিফাই করতে পারবে দল দু‘টি । যেখানে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকার ২টি করে দল এবং ওশেনিয়া ও ইউরোপের ১টি করে দলের সাথে লড়বে তারা। এই ১০টি দল হতে ৩টি দল বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করবে।
তাই হিসেব অনুযায়ী গ্রুপ পর্বে ২টি ও কোয়ার্টার ফাইনালসহ মোট তৃতীয় জয় পেলেই স্বপ্নের বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে নারী বিশ্বকাপের দশম আসর।
এছাড়াও ২০২৮ সালের অলিম্পিকের মূল পর্বেও অংশগ্রহণ করবে এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ৮টি দল। সেই সাফল্যও অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে ঋতুপর্ণা চাকমারা, রুপনা চাকমারা।
ইমাম হোসেন/ এজে/দীপ্ত সংবাদ