ঢাকা মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য চালু হতে যাচ্ছে আধুনিক ও সহজ ভাড়া পরিশোধ ব্যবস্থা ‘ইউনিভার্সেল টিকিটিং সিস্টেম (ইউটিএস)’। এই ব্যবস্থায় যাত্রীরা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একক যাত্রার টিকিট কিনে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়া এমআরটি ও র্যাপিড পাস এবং একক যাত্রার কার্ড ব্যবহারের চলমান ব্যবস্থাও বহাল থাকবে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ইউটিএস চালু করতে ছয় মাস সময় লাগবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
নতুন ব্যবস্থায় স্টেশনগুলোতে বসানো হবে আধুনিক যন্ত্র, যাতে কার্ড পাঞ্চ বা কিউআর কোড স্ক্যান করে ট্রেনে ওঠা ও নামা যাবে। বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করে যাত্রীরা মোবাইলে কিউআর কোড পাবেন, যা স্টেশনে প্রবেশ ও প্রস্থানে স্ক্যান করতে হবে।
বর্তমানে যে ‘ক্লোজ লুপ’ পদ্ধতি চলছে তা শুধু জাপানি সনি কোম্পানির কার্ড সাপোর্ট করে। ফলে এতে ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের সুযোগ নেই।
বর্তমানে এমআরটি বা র্যাপিড পাস ব্যবহারকারীরা ১০ শতাংশ ছাড় পান। তবে চাহিদা অনুযায়ী কার্ড সরবরাহ না হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। নতুন ব্যবস্থায় কার্ড সংকট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মেট্রোরেল ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, “মানুষ কার্ড চাইছে, অথচ কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে না—এটি খুবই অস্বস্তিকর। নতুন ব্যবস্থা সফল হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে।”
ডিএমটিসিএলের এমডি ফারুক আহমেদ বলেন, “ভাড়া পরিশোধ যত সহজ হবে, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য তত বাড়বে। আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের ব্যবস্থা অনেক দেশে চালু রয়েছে।”
সূত্র: প্রথম আলো