রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে দুই পক্ষের অন্তত দুই শতাধিক। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে বাস সুপারভাইজারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর–সংলগ্ন বেশকিছু দোকান ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ৩ ঘণ্টার বেশি সময়ের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এ অবস্থায় সোমবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত সব ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যের আদেশক্রমে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গত রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত–পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন।
এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়েছেন কয়েকশত স্থানীয়। তাদের ছোঁড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এর আগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী। এসময় সাংবাদিকের উপরও হামলা করেন তারা।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবার জোট বেঁধে ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে জলকামান এবং পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে রাবি ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৮০ জন আহত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
এমি/দীপ্ত