নটিংহাম টেস্টে একতরফা আধিপত্য দেখাচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের অবস্থা এমনই করুণ যে, তৃতীয় দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইনিংস পরাজয় এড়াতে হলে সফরকারীদের সামনে এখনো পাহাড়সম লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০ রান। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ২৭০ রানে, অবশ্য হাতে আছে ৮ উইকেট। তবে, ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ফলোঅন করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড।
দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ৩ উইকেটে ৪৯৮ রান নিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৫৬৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ ছিল দুর্ধর্ষ। জ্যাক ক্রাউলি খেলেন ১২৩ রানের চোখধাঁধানো ইনিংস। বেন ডাকেট যোগ করেন ঝোড়ো ১৩৭ রান। অলি পোপ তুলে নেন ১০৫ রানের আরও একটি টেস্ট সেঞ্চুরি। হ্যারি ব্রুক করেন কার্যকরী ৫৮ রান।
অন্যদিকে, জিম্বাবুয়ের বোলিং ইউনিট ছিল বিবর্ণ। উল্লেখযোগ্য কেউই ইংলিশ ব্যাটারদের থামাতে পারেননি। ৫৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা কার্যত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয়।
ইংল্যান্ডের বোলিং লাইনআপও ছুটেছে দুর্দান্ত ছন্দে। জেমস অ্যান্ডারসন, ক্রিস ওকস, মার্ক উড এবং জ্যাক লিচ—সবাই উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের ব্যাট থেকে।
তাদের একমাত্র উল্লেখযোগ্য জুটি ছিল সপ্তম উইকেটে, যা কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়।
৩০০ রানে পিছিয়ে থেকে জিম্বাবুয়েকে ফলো–অন করায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। মাত্র ৩০ রানেই হারিয়েছে দুই উইকেট। মিলটন শুম্বা ১০ রানে আউট হন। কাইতানো ফেরেন ৫ রানে। দিনের খেলা শেষ হয় দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩০/২–এ।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই যদি দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে, তাহলে এই টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই। ইংল্যান্ডের বোলারদের ছন্দ, কন্ডিশনের সহায়তা এবং জিম্বাবুয়ের দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ বিচার করলে এটি অসম্ভব কিছু নয়।
ইংল্যান্ড–জিম্বাবুয়ে টেস্ট এখন একতরফা রূপ নিয়েছে। ইংলিশ ব্যাটিং নৈপুণ্য ও বোলিং আগ্রাসনের সামনে জিম্বাবুয়ে পুরোপুরি অসহায়। টেস্টের আর মাত্র একটি দিন না যেতেই যদি ম্যাচ শেষ হয়, তবে তা হবে জিম্বাবুয়ের জন্য অস্বস্তিকর পরাজয়ের আরেকটি অধ্যায়।