ভারত–পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতের জেরে এক সপ্তাহ স্থগিত থাকার পর আবার মাঠে ফিরছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই নিশ্চিত করেছে, আগামী ১৭ মে থেকে আবার শুরু হচ্ছে এবারের আসর।
নতুন সূচি অনুযায়ী, আইপিএল ২০২৫–এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন, যেখানে প্রথম কোয়ালিফায়ার ২৯ মে, এলিমিনেটর ৩০ মে এবং দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু চূড়ান্ত করা হলেও প্লে–অফ ও ফাইনালের মাঠ এখনও চূড়ান্ত করেনি বিসিসিআই।
তবে আসর পুনরায় শুরু হলেও বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাদের খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনায় বসেছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কয়েকটি দেশের খেলোয়াড়রা হয়তো টুর্নামেন্টের বাকি অংশে অংশ নাও নিতে পারেন। বিশেষ করে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাজনিত কারণে চিন্তিত বলে জানা গেছে।
গত ৯ মে ধর্মশালা স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালে ঘটে ‘ব্ল্যাকআউট‘ যা ছিল এক ধরনের নিরাপত্তা সতর্কতা। এর আগের দিন ৮ মে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ভারতের কিছু স্থাপনায় হামলার অভিযোগ ওঠে। ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে বিসিসিআই জরুরি সভা ডেকে পুরো টুর্নামেন্ট এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।
টুর্নামেন্ট এক সপ্তাহ বন্ধ থাকায় সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলো ও স্পনসরদের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একাধিক ম্যাচ স্থগিত হওয়ায় স্টার স্পোর্টস ও ডিজনি হটস্টার প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন রাজস্ব হারিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টিকিট বিক্রির অর্থ ফেরত, মাঠ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও লজিস্টিক খরচও বেড়ে গেছে বহুগুণে।