সারাদেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে ৫ জন, কিশোরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন, শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটতে গিয়ে এক কৃষক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান কাটার সময় এক শ্রমিক এবং ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১১ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরিনগর ও আখাউড়ায় বজ্রপাতে শিশু ও কৃষকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামে, একই উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায়, ভলাকুট ইউনিয়নের ও আখাউড়ায় এ সব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে; তারা হলেন: নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), আখাউড়ার শেখ সেলিম মিয়া (৬০),ও জামির খাঁ (২২), লাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জাকিয়া (৭)।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ জন মারা গেছেন। তারা হলেন– ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনিয়নের ফয়সাল মিয়া (২৮) এবং কুলিয়ারচরের ছয়সূতি ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কবির মিয়া (২৫)।
এদিকে কাটা ধান আনতে গিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাতে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অপর এক শ্রমিক। সন্ধ্যায় উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত খবির উদ্দীন (৪৫) উপজেলার কাপাশিয়া এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে। আহত সকুল উদ্দীন (২০) একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ময়মনসিংহ সদরের আলাদা স্থানে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে এবং ডাল ভেঙে প্রাণ গেছে দুইজনের। বিকেলে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন– সজীব মিয়া (২৫) ও সুরুজ মিয়া (৭০)।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মরাকুড়ি বাজার সংলগ্ন স্কুলের পেছনে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নেন নির্মাণ শ্রমিক সজীব মিয়া। এসময় ঝড়ে গাছটি উপড়ে পড়লে গাছের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সজীব।
আল