ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও সেরা টুর্নামেন্ট –এমনটাই প্রত্যাশা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ দেখতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন, তারা নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা পাবেন।‘
বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল নিয়ে আয়োজন হতে যাচ্ছে এই আসর, যেখানে মোট ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তিন আয়োজক দেশ– যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় ছড়িয়ে থাকবে এই বিশাল টুর্নামেন্টের আয়োজন। এর মধ্যে ৭৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে, বাকি ১৮টি মেক্সিকোতে এবং ৮টি ম্যাচ হবে কানাডায়। আগামী বছরের ১১ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশ নেবে রেকর্ডসংখ্যক ৪৮টি দল। ১৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম পর্বে মাঠে নামবে দলগুলো। ফিফার হিসেব অনুযায়ী, এ আয়োজন থেকে বিশ্বব্যাপী আয় হতে পারে প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট ঘিরে নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অভ্যাগত দর্শকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজতাসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এই ইভেন্টটি কেবল একটি খেলা নয়, বরং এটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে একত্রিত করার একটি অসাধারণ সুযোগ। আমরা এটিকে ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপে পরিণত করবো।‘
বিশ্বকাপ ২০২৬–এর গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফি স্টেডিয়াম, নিউইয়র্ক/নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়াম, মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়াম এবং ডালাসের এটিঅ্যান্ডটি স্টেডিয়াম। ফাইনাল ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামকে ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের ইতিহাসে এর আগে কেবল ২০০২ সালে (জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া) দুটি দেশ যৌথভাবে আয়োজন করে। তবে এবার তিন দেশের যৌথ আয়োজনে এবং দলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি হতে যাচ্ছে সর্বকালের সবচেয়ে বিস্তৃত ফুটবল উৎসব।