বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিনেতাকর্মীদের ঢলয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে গুলশানের ফিরোজায় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে দেশে ফিরেছেন তিনি। তাকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা ৪৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পথে পথে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি, প্লেকার্ড, দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নেতা–কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সাধারণ মানুষ সড়কের পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সড়ক বন্ধ না করতে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, রাস্তার ওপরে না দাঁড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। তাই সুশৃঙ্খলভাবে আমরা রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়েছি, যাতে কারও কোনো ভোগান্তি না হয়।
বনানী এলাকায় ফুটপাতে অবস্থান নেয়া রামপুরা এলাকার বিএনপি কর্মী আরমান মিয়া বলেন, আজ আনন্দের দিন। গণতন্ত্রের মা দেশে ফিরছেন, নেতাকর্মীদের আগমনে ভরে গেছে ঢাকা শহর। সফল ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।
তবে মানুষের ঢল নামায় কোথাও কোথাও সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন তারা।
সকালে রাজধানীর হযরত শাহজাহাল বিমান বন্দরে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণকে সহজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে নির্যাতিত ছিলেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলে তিনি কারাবন্দীত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় চারমাস চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরে আসছেন।
এটা জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের এই সময়ে তার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণকে সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু আবেগ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তির প্রকাশ।’
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শার্মিলা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।