বেক্সিমকো গ্রুপ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত তত্ত্বাবধায়ককে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তবে, আদালত গত ১০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে যথাযথ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান আদালতে একটি রিট আবেদন করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় দেন যে, বেক্সিমকো গ্রুপ নিজেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করবে এবং এর জন্য আলাদা তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন নেই।
তবে, বেক্সিমকোর ঋণ ও অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার মুনিরুজ্জামান এবং বেক্সিমকোর পক্ষে ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বাংলাদেশ ব্যাংককে বেক্সিমকো গ্রুপের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
একইসঙ্গে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেওয়া অর্থ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার নির্দেশনা দেয় আদালত।
বেক্সিমকো গ্রুপ দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। প্রতিষ্ঠানটির ঋণখেলাপি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়। তবে, হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে সেই সিদ্ধান্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে বিবেচিত হয়েছে।