এমবিবিএস–বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারবেন না।
বুধবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি রিটের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট করেন। ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর একটি রিট করেন।
প্রথম রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে আইনের ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন চিকিৎস এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সকল চিকিৎস এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন তারা।
কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন সারা দেশের মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা।
আল