২০০৬ সালের ৬ আগস্ট হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। দলের অধিনায়ক তখন খালেদ মাসুদ পাইলট। উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতেও তখন তিনি তুমুল জনপ্রিয়। মুশফিকের সামনে সহজ ছিল না পাইলটের এই জায়গাটা দখল করার।
ব্যাটার হিসেবে ব্যাট করারও সুযোগ পেতেন না শুরুর দিকে। প্রথম চার ম্যাচের মাত্র একটিতে ব্যাট করতে পেরেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে। রান করতে পেরেছিলেন মাত্র ১৮। তাও ছিলেন অপরাজিত। প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৭ এর ফেব্রুয়ারিতে।
২০০৭ বিশ্বকাপের আগে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেলারই সুযোগ পাননি তখন সদ্য কৈশোর পেরুনো ছোট শরীরের মুশফিকুর রহিম। যদিও তার আগে টেস্টে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। ২০০৫ সালে আলোচিত ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে সর্বকনিষ্ট ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন।
এরপর ধীরে ধীরে বিপদের মুহূর্তে মুশফিক নিজেকে উপস্থাপন করেন একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হিসেবে। দল খুব খারাপ খেলছে, মিডল অর্ডারে কারও হাল ধরার দরকার, মুশফিক সেখানে ভূমিকা পালন করেছেন। এমন অসংখ্য নজির রয়েছে।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে হারারে থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি– গত ১৯ বছরে সব মিলিয়ে ২৭৪টি ওয়ানডে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৬.৪২ গড়ে এবং ৭৯.৭০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৭৭৭৯৫টি। সেঞ্চুরি করেছেন ৯টি এবং হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে ৪৯টি।
উইকেটরক্ষক মুশফিকের নামের পাশে আছে ২৯৭টি ডিসমিসাল। ওয়ানডের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি ডিসমিসাল আছে আর মোটে ৪ জনের। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, কুমার সাঙ্গাকারা, মার্ক বাউচার এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি আছেন তার ওপরে। মাত্র ৫ম উইকেটরক্ষক হিসেবে ৩০০ ডিসমিসাল থেকে অল্প দূরেই ছিলেন বাংলাদেশি এই উইকেটরক্ষক।
আল