দেশের সকল সেক্টরে নির্বাহী ক্ষমতাসহ নিয়োগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কেন্দ্রিকতা বন্ধ এবং দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রের বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা–রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করেন তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর ১টা ৫১ মিনিট) অবরোধ চলছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। সকাল ১১টায় জোহা চত্বর থেকে তার নেতৃত্বে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে।
রেলপথ অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র–শিক্ষক এক হও, ঢাবি সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, বিকেন্দ্রীকরণ বাংলাদেশ গড়ো’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ঢাবি ভক্তি’, ‘ঢাবিবাদ নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি? মুক্তি মুক্তি, ঢাকা না বাংলাদেশ? বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, “ঢাকা না রংপুর, রংপুর রংপুর”, “ঢাকা না কুমিল্লা, কুমিল্লা কুমিল্লা”, “ঢাকা না রাজশাহী, রাজশাহী রাজশাহী”, “ঢাবি না রাবি, রাবি রাবি” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
রাবি সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সাত মাস হয়ে যাওয়ার পরও সবকিছু এক কেন্দ্রীক। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি, ইউজিসি, পিএসসি প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রশাসন নিয়োগ, উপদেষ্টা মন্ডলি সকল জায়াগার স্টেক হিসেবে শুধুমাত্র এক কেন্দ্রিক ঢাকা এবং ঢাবি আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আমরা চাই বৈষম্যহীণ বাংলাদেশ। প্রত্যেকটা স্টেক রক্ত ঝড়িয়েছে। সবাই যেন সবার রক্তের হিসসা বুঝে পায় এটা আমরা অবশ্যই চাই।’
রেলওয়ে স্টেশন ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে এখন সব ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ও হরিয়ান স্টেশনে আটকা আছে। এ আন্দোলন স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না।
কোনো ট্রেন আটকে আছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, আপাতত কোনো ট্রেন আটকে নেই। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনটির শিডিউল বিপর্যয় হবে।
এসএ