চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০১৭ সালের মতো সুখস্মৃতি আর নেই বাংলাদেশের। এ পর্যন্ত ৫টি আসর খেলে ফেললেও, ঐ এক আসরেই সেমিফাইনালে খেলেছিল টাইগাররা। তবে এবার বড় স্বপ্ন নিয়ে বিমানে উঠলেও, দুবাইয়ে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেছে শান্তরা। বাকি দুই ম্যাচ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ, তাই এখন সবার প্রশ্ন।
প্রথম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা হয়েছিল বাংলাদেশেই। তবে গৌরবের সেই সময় বাংলাদেশ ছিলো দর্শক হয়ে।
২০০০ সালে পরের আসরে কেনিয়ায় প্রথমবারের মতো খেলতে নামে বাংলাদেশ। নাইরোবিতে সেই আসরটি ছিল নকআউট কাঠামোর, এক ম্যাচ হারলেই বিদায়! প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। দীর্ঘ পথ ভ্রমন করে কেনিয়া যাওয়া বাংলাদেশ দল, এক ম্যাচ খেলেই বিদায় নেয়।
২০০২ সালে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে আসে বদল। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে দুই পরাশক্তির কাছেই স্রেফ উড়ে যায় বাংলাদেশ দল। ব্রেট লির গতি আর শেন ওয়ার্নের ঘূর্ণিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় খালেদ মাসুদের দল। ১৭৬ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড করেছিল ২৪৪ রান। জবাবে শেন বন্ডের তোপে ৭৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
২০০৪ সালের গল্পটাও একই রকম। শুধু মাঠ আর প্রতিপক্ষ ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশ হারে সাউথ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
২০০৬ সালে ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে আবারও ফরম্যাটে আসে বদল। ছয় দল সরাসরি গ্রুপ পর্বে জায়গা পায়। চার দলকে খেলতে হয় কোয়ালিফাইং রাউন্ডে। সেখান থেকে দুটি দল যায় গ্রুপ পর্বে। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দেয় হাবিবুল বাশারের দল, যা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম জয়। আর শাহরিয়ার নাফীসের সৌজন্যে আসরে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিও আসে সেইবার।
২০০৯ ও ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সুযোগ পায়নি। প্রায় ১১ বছর পর ২০১৭ সালে ফিরেই ইতিহাসে নিজেদের রুপকথার গল্পটা লিখে ফেলে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরিতে ভর করেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তারপরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে করে ড্র। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে, ২৬৬ রান তাড়া করতে নেমে, ২২৪ রানের মহাকাব্যিক জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দুজনই করেছেন সেঞ্চুরি। আর সেই ম্যাচে জয় দিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে টাইগাররা।
ইশান/আল