জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য আর কাউকে সরাসরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনআইডি মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ডিজি বলেন, এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির পুরো তথ্য যাচাই করতে দিবে না নির্বাচন কমিশন। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান যেসব তথ্য চেয়ে যাচাই করতে চাইবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে সঠিক না ভুল তা জানানো হবে। অর্থাৎ নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাইয়ের কাজটি এখন থেকে সম্পূর্ণভাবে অন্যরা করতে পারবে না।
তথ্য ফাঁস রোধে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে এনআইডি ডিজি আরও বলেন, আমরা একটি টিম করে দেব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। ওনারা যে কোনো সময়, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম এটি খুঁজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে আমরা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকেছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করে কীভাবে তথ্যগুলোকে আরও সুরক্ষিত রাখা যায় এ নিয়ে আলোচনা করেছি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করে। সম্প্রতি এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটির বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তদন্তও চলছে ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। গেল সপ্তাহে তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন।
এসএ