আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র–জনতা। পরে ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ সময় সেখানে ‘কাউয়া কাউয়া’, ‘কাউয়া কাদের’ সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ওবায়দুল কাদেরর বাড়িতে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য একদল ছাত্র–জনতা বাড়ির গেট ও দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢোকে। বিক্ষুব্ধ জনতার একাংশ দ্বিতল ভবনে ঢুকে ভেতরে থাকা কিছু আসবাবপত্র ছুড়ে নিচে ফেলে দেয়। পরে সেসবে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারা ভবনের ওপরেও আগুন দেয়।
নোয়াখালী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ জানান, যারাই স্বৈরাচার দোশর হিসেবে কাজ করবে তাদেরই এই পরিণতি হবে। সাধারণ শ্রেণী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশা মানুষ তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা জানান, ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে বুলডোজার আসবে এবং এ বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হবে। এ বাড়ির পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতেও ভাংচুর করার ঘোষনা দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর পাশেই অবস্থিত তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের বাড়িতেও ভাংচুর চালানো হয়।
এ বাড়িটি ওবায়দুল কাদেরের জন্মস্থান ও তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত সাবেক মেয়র মির্জা কাদেরেরও বাসভবন।
৫ আগস্ট রাতে এ বাড়িটি একবার ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর বাড়িটি কিছুটা সংস্কার করা হয়।
আল