চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশ ও শুল্ক সংক্রান্ত পরিবর্তন আনছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এবার চীনের ওপরও নতুন শুল্ক আরোপ করা হলো।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চীন থেকে ফেন্টানিল মাদক পাচারের অভিযোগের জের ধরে এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এদিকে কানাডা থেকে আমদানি করা তেলের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি প্রথমে অনিশ্চিত থাকলেও শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার তেলের ওপরও ১০ শতাংশ কর কার্যকর হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই কানাডা থেকে আমদানিকৃত তেলের মাধ্যমে পূরণ হয়। ফলে নতুন শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে তিনি দেশবাসীকে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মেক্সিকো শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবম জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনার দিকে নজর রাখছেন এবং এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, শুল্ক আরোপের প্রতিযোগিতা দুই দেশের অর্থনীতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, তাহলে তা উভয় দেশের জন্যই ইতিবাচক হবে।