জাপানের সায়তামা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিলছে বিড়ালের বিকৃত মরদেহ। আতংক ছড়িয়ে পরেছে অধিবাসীদের মধ্যে।
শহরটিতে বিড়ালের বিকৃত মরদেহ প্রথমবারের মতো উদ্ধার করা হয় আরাকাওয়া নদীর তীরে। একজন নারী লক্ষ্য করেন একটি বিড়ালের মাথাসহ সামনের দুটি পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিড়ালটির দেহের বাকি অংশ পাশের রাস্তার ফুটপাতে দেখা যায়।
প্রথমে বিষয়টি এলাকাবাসী গুরুত্ব না দিলেও এর কয়েকদিন পর একটি স্কুলের খেলার মাঠের ফুটবল বারের সঙ্গে আরও একটি বিড়ালের চোয়াল ঝোলানো অবস্থায় দেখা যায়। এরপর মাসের শেষ দিকে একটি রাস্তা এবং খেলার মাঠ থেকে আরও দুটি বিড়ালের বিকৃত মরদেহ পান স্থানীয়রা।
এতে বিগত ১০ দিনের বেশি সময় ধরে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে শহরের অধিবাসীদের । জনগণের ভীতি কমাতে শহরটির কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিলেও এমন ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি। কারন শহরটির ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনাই নেই যার সঙ্গে এর তুলনা দেয়া চলে। এমন ঘৃণ্য কাজ কেউ করতে পারেন তা কেউই মানতে পারছেন না।
সম্প্রতি শহরটির কর্তৃপক্ষ এমন এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে যে কিনা বিড়ালের মতো প্রাণীগুলোকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করতো। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না স্থানীয়রা খুবই ভীত এবং অস্বস্তি বোধ করছেন।
পুলিশ বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের বিড়াল হত্যাকারীদের হাত থেকে নিরাপদে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টিকে জাপানের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় বলে আখ্যা দিয়েছেন ।
অনু/দীপ্ত সংবাদ